Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ মে ২০২৫

ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির পরিচিতি

“সুস্থ দেহে সুন্দর মন,

চিকিৎসায়  ইলেকট্রো-মেডিকেল প্রয়োজন”

এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পূণ্যভূমি সিলেটে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রয়াসে  ২০০৬ সালে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি সংযুক্ত করা হয়। 

 

ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি (Electro-Medical Technology) হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমন্বয়ে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এটি মূলত বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি শাখা যা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।

ইলেকট্রো-মেডিকেল বিভাগের কার্যক্রম অত্র ক্যাম্পাসের কম্পিউটার বিল্ডিং এর ২য় তলায় বিভাগীয় প্রধানের ২০০১ নং কক্ষ ও  শিক্ষকবৃন্দের ২০০৫ নং কক্ষ হতে পরিচালিত হয়।  এ বিভাগে ১ (এক) জন ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান, ২ (দুই) জন ইন্সট্রাক্টর, ৭ (সাত) জন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর, ৪ (চার) জন ক্রাফট্ ইন্সট্রাক্টর ও ১ (এক) জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাম অফিস সহায়ক রয়েছেন।ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য একটি EMT Lab রয়েছে।

 

ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির পরিধি:

ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ডিজাইন, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা রাখে। যেমন-

  1. ডায়াগনস্টিক ডিভাইস:

এক্স-রে (X-ray), ইসিজি (ECG - Electrocardiogram), এমআরআই (MRI - Magnetic Resonance Imaging), সিটি স্ক্যান (Computed Tomography Scan), আলট্রাসাউন্ড (Ultrasound) ইত্যাদি।

  1. থেরাপিউটিক ডিভাইস:

লেজার থেরাপি মেশিন, পেসমেকার (Pacemaker), ডায়াথার্মি মেশিন, ফিজিওথেরাপি ইকুইপমেন্ট, মনিটরিং ডিভাইস, আইসিইউ মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, অক্সিজেন মনিটর, ব্লাড প্রেসার মনিটর ইত্যাদি।

 

ইলেকট্রো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব:

  • চিকিৎসা সরঞ্জামের ডিজাইন ও উন্নয়ন করা।
  • হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম ইনস্টলেশন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
  • চিকিৎসা সরঞ্জামের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
  • রোগ নির্ণয়ের জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • স্বাস্থ্যসেবার জন্য নতুন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম উদ্ভাবন করা।

 

ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির গুরুত্ব:

দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয়,  চিকিৎসা ব্যয় কমানো,  জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা, টেলিমেডিসিন, টেলিরেডিওলজি ও রোবটিক সার্জারির মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন।

 

কর্মক্ষেত্রসমূহ:

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২০২২ প্রবিধান অনুযায়ী ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজিতে ৪ (চার) বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ মাদার টেকনোলজি হিসাবে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিতে আবেদন করতে পারবেন। ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি হিসেবে টিএসসিতে ও এনটিআরসিএ তে চাকুরির সুযোগ আছে। অর্থাৎ ত্রিপল সুযোগ (একের ভিতর তিন ) ইলেকট্রো-মেডিকেল, ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক্যালের সার্কুলারে আবেদন করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রো-মেডিকেল) পদ সৃষ্টি সহ নিম্নে কিছু পদায়নযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ দেওয়া হলো:

  • সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ (টিএসসি)
  • পাওয়ার সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ
  • গ্যাস সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ
  • স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
  • ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর
  • নিমিউ এন্ড টিসি
  • সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
  • জেলা সদর হাসপাতাল
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  • সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল
  • মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সাপ্লায়ার কোম্পানি
  • মেডিকেল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি
  • স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

 

ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। এটি চিকিৎসা খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে, যা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবাকে আরও কার্যকর ও উন্নত করেছে।

এই টেকনোলজির জ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষকে কাজে লাগিয়ে সরকারি ও বেসরকারি  মেডিকেলের শত শত কোটি টাকার চিকিৎসা বিষয়ক যন্ত্রপাতি নষ্ট ও বিকল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে ও পাবে;যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য বিরাট অর্জন।