“সুস্থ দেহে সুন্দর মন,
চিকিৎসায় ইলেকট্রো-মেডিকেল প্রয়োজন”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পূণ্যভূমি সিলেটে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রয়াসে ২০০৬ সালে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি সংযুক্ত করা হয়।
ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি (Electro-Medical Technology) হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমন্বয়ে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এটি মূলত বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি শাখা যা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
ইলেকট্রো-মেডিকেল বিভাগের কার্যক্রম অত্র ক্যাম্পাসের কম্পিউটার বিল্ডিং এর ২য় তলায় বিভাগীয় প্রধানের ২০০১ নং কক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দের ২০০৫ নং কক্ষ হতে পরিচালিত হয়। এ বিভাগে ১ (এক) জন ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান, ২ (দুই) জন ইন্সট্রাক্টর, ৭ (সাত) জন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর, ৪ (চার) জন ক্রাফট্ ইন্সট্রাক্টর ও ১ (এক) জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাম অফিস সহায়ক রয়েছেন।ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য একটি EMT Lab রয়েছে।
ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির পরিধি:
ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ডিজাইন, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা রাখে। যেমন-
এক্স-রে (X-ray), ইসিজি (ECG - Electrocardiogram), এমআরআই (MRI - Magnetic Resonance Imaging), সিটি স্ক্যান (Computed Tomography Scan), আলট্রাসাউন্ড (Ultrasound) ইত্যাদি।
লেজার থেরাপি মেশিন, পেসমেকার (Pacemaker), ডায়াথার্মি মেশিন, ফিজিওথেরাপি ইকুইপমেন্ট, মনিটরিং ডিভাইস, আইসিইউ মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, অক্সিজেন মনিটর, ব্লাড প্রেসার মনিটর ইত্যাদি।
ইলেকট্রো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব:
ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজির গুরুত্ব:
দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ব্যয় কমানো, জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা, টেলিমেডিসিন, টেলিরেডিওলজি ও রোবটিক সার্জারির মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন।
কর্মক্ষেত্রসমূহ:
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২০২২ প্রবিধান অনুযায়ী ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজিতে ৪ (চার) বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ মাদার টেকনোলজি হিসাবে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিতে আবেদন করতে পারবেন। ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি হিসেবে টিএসসিতে ও এনটিআরসিএ তে চাকুরির সুযোগ আছে। অর্থাৎ ত্রিপল সুযোগ (একের ভিতর তিন ) ইলেকট্রো-মেডিকেল, ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক্যালের সার্কুলারে আবেদন করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রো-মেডিকেল) পদ সৃষ্টি সহ নিম্নে কিছু পদায়নযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ দেওয়া হলো:
ইলেকট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। এটি চিকিৎসা খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে, যা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবাকে আরও কার্যকর ও উন্নত করেছে।
এই টেকনোলজির জ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষকে কাজে লাগিয়ে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলের শত শত কোটি টাকার চিকিৎসা বিষয়ক যন্ত্রপাতি নষ্ট ও বিকল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে ও পাবে;যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য বিরাট অর্জন।