ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির পরিচিতিঃ
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রেডিও এবং শেষের দিকে টেলিগ্রাফ শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য টেলিফোন শিল্পগুলোর বিকাশে একটি পেশা হিসেবে “ইলেকট্রনিক প্রকৌশল” এর উদ্ভূত হয় । রেডিও জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল কারণ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এর মাধ্যমে বার্তা আদান প্রদান করা যেত । ১৯২০ সালের দিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে শুরু হওয়া অনেক সমপ্রচার “অপেশাদার” ছিল । বৃহৎ পরিমাণে ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের আধুনিক সংস্করন যেমন- টেলিফোন, রেডিও এবং টেলিভিশন সরঞ্জাম ইত্যাদির উন্নয়ন এবং এর পাশাপাশি রাডার , সোলার , উন্নত অস্ত্রোপচার এবং উন্নত অস্ত্র সিস্টেম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃহৎ পরিমাণে এসব জিনিসের ব্যবহার ইলেকট্রনিক সিস্টেমের উন্নয়নের জন্ম দেয় ।
ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বা কখনো ইলেকট্রনিক প্রকৌশল , প্রকৌশলবিদ্যার একটি শাখা যেটি ইলেক্ট্রনিক্সের প্রভাব ও আচরণ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সাহায্যে বিভিন্ন উপাদান, যন্ত্রপাতি, (যেমন ইলেক্ট্রন টিউব, ট্রানজিস্টর, সমন্বিত বর্তনী ) ইত্যাদির নির্মাণ, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে। ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি বা উপাদানের চালিকাশক্তি হিসেবে তড়িৎশক্তি ব্যবহৃত হয়। এই প্রকৌশলের অন্তর্গত শাখার মধ্যে তড়িৎশক্তি, টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল, অর্ধ-পরিবাহী দ্বারা নির্মিত তড়িৎ বর্তনী অন্যতম ।
আধুনিক সভ্যতার চালিকা শক্তি হল ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি। সমাজের সব ধরনের লোকজন এই টেকনোলজির সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছে। উন্নত জীবন যাপনের জন্য মানুষ প্রতিটি মুহুর্তেই Electronics এর উপর নির্ভর করে চলছে। সুতরাং এই টেকনোলজিতে পড়াশুনা করে কোন প্রকৌশলীকে কোনক্রমে বেকার থাকতে হবে না।
বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় এই টেকনোলজিতে পাশ করা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কম খরচে কোন ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায় তাদের জন্য ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি ভিত্তিক লেখাপড়া একান্ত আবশ্যক। সমাজে যে হারে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর এবং যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ছে তাতে করে দেশে দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাহিদা ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলেছে। এই টেকনোলজিতে অধ্যয়ন করে ছাত্র-ছাত্রীরা যে দক্ষতা অর্জন করে তা দিয়ে খুব সহজেই ক্ষুদ্র প্রকল্প গ্রহণ ও বিপনণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সম্ভব যা বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখছে।
We connect people through technology! এই স্লোগানকে ধারণ করে ১৯৯৫ সালে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির যাত্রা শুরু হয়। ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন নামকরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহে অত্যন্ত সুনামের সাথে চাকরি করছে। পাশাপাশি বিদেশে আমাদের শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির ল্যাবসমূহঃ
১) বেসিক ইলেকট্রনিক্স ল্যাব
২)মাইক্রো ল্যাব
৩) ডিজিটাল অটোমেশন ল্যাব
কর্মক্ষেত্রসমূহ:
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সমূহ