ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ ২৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সচিব হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন। এ বিভাগে যোগদানের পূর্বে তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৯৩ সালের ২৮ জুলাই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সহকারী পরিচালক হিসাবে যোগদানের মধ্যদিয়ে। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৩ সালের ২৮ নভেম্বর ১৪ তম বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডারে ময়মনসিংহের সরকারী আনন্দ মোহন কলেজে ভূগোল বিভাগের প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন।
তিনি ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩ তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন এবং শুরুতে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কাজ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালের আগস্ট মাস হতে ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এক বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে সহকারী কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আমলি আদালত ও দ্রুত বিচার আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যের ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ও সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর, দূতালয় প্রধান এবং মিনিস্টার (লোকাল) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হয়।
তিনি দেশে-বিদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। তিনি গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে Governing Digital Age বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ ১৯৬৭ সালের ৩০ আগস্ট সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মোঃ আব্দুল হামিদ ও মাতা বেগম রেজিয়া চৌধুরী। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে বিএস-সি (সম্মান) ও এমএস-সি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস থেকে লোক-প্রশাসনে Application of Result Based Management in the Public Sector Projects in Bangladesh বিষয়ে গবেষণাপূর্বক পি-এইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ এর সহধর্মিণী জনাব ফাতেমা কিবরিয়া বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তাদের একমাত্র পুত্র প্রাতিস্বিক জেহেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ও একমাত্র কন্যা রোদসী মঞ্জিমা মাস্টারমাইন্ড স্কুলে এ লেভেলে অধ্যয়নরত।