Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি

বিভাগের সংক্ষিপ্ত শ্লোগানঃ  “নিরবিচ্ছিন্ন ইলেকট্রিসিটি, দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি।”

 

ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি : সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী পুরাতন প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালু হয়। প্রথম পর্যায়ে সিভিল, পাওয়ার ও মেকানিক্যাল তিনটি টেকনোলজির একটি করে গ্রুপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ইলেকট্রিক্যালের একটি গ্রুপ সংযোজন করা হয়। ২০১৬ সালে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিতে দুইটি করে গ্রুপ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

বর্তমানে এই টেকনোলজিতে ছাত্রছাত্রীদের ১ম পর্ব ১ম শিফটে (A.B) গ্রুপে আসন সংখ্যা ১০০ জন এবং ১ম পর্ব ২য় শিফটে (A.B) গ্রুপে ১০০ জন। বর্তমানে প্রথম পর্বে (২০০ জন) শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ওয়ার্কসপ সংখ্যা ৩টি। কর্মরত আছেন ১২ জন শিক্ষক ও ০৭ জন কর্মচারী।

 

প্রথম সেমিস্টার হতে অষ্টম সেমিস্টার পর্যন্ত চার বছরে এই ডিপ্লোমা কোর্সটি কমপ্লিট করতে হয়। এই টেকনোলজিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যাবতীয় বিষয় প্রথম সেমিস্টার হতে সপ্তম সেমিস্টার পর্যন্ত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয়ে শেখানো হয় এবং অষ্টম সেমিস্টারে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এটার্চমেন্টের জন্য শিল্প কারখানায় ১২ সপ্তাহের বাস্তব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। শিল্প কারখানায় এটার্চমেন্টের শেষে আবার ইনস্টিটিউটে চার সপ্তাহ ব্যাপী ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিংকেজ প্রতিষ্ঠানে বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির ওয়ার্কসপসমূহ :  

০১। ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার সপ (EPS)

০২। ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং সপ (EWS)

০৩। ইলেকট্রিসিটি, মেগনেটিজম এন্ড ইলেকট্রনিক্স সপ (EMS)  

 

বিদ্যুৎ আবিস্কার : ২৬০০ বছর আগে গ্রিসের মহান দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ যার নাম ছিল থেলিস। তিনি সর্ব প্রথম পাইন গাছ, যার রস আঠা হয়ে যায় তিনি দেখেন তা শুকনা পাতা, যে কোন পাখির পালক রেশমের উপরে বা বিড়ালের পশমের উপরে কোন বস্তুকে কয়েকবার ঘষলে ছোট ছোট কাগজের টুকরাকে আকর্ষণ করে এখান থেকে বিদ্যুতের আলামত পাওয়া যায়, এরপর ষোলশতকে ইংল্যান্ডের এক ডাক্তার তিনি লক্ষ্য করেন কোন একটি বস্তুর সঙ্গে ঘষলে তার মধ্যে ক্ষমতা চলে আসে তিনি দেখলেন একটি কলমকে চুলে ঘষলে অত:পর কাগজের কাছে নিয়ে আসলে কাগজের টুকরাগুলো আটকে যায় তখন এই শক্তির নাম রাখলেন ইলেকট্রিসিটি।

উইলিয়াম গিলবার্ট ১৫৭০ সালে ডিসি বিদ্যুৎ আবিস্কার করেন। ১৭৫২ সালের জুন মাসে আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল তখন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়ান ঘড়ির সুতার সঙ্গে একটি লোহার চাবি বেঁধে দেন সে সময় একটি বিদ্যুৎ চমকায় এবং সার্জ ভোল্ট বা বিদ্যুৎ তার ঘুড়ির উপর পড়ে তখন থেকে সেখান থেকে সুতার মাধ্যমে লোহার চাবি হতে হাতে এভাবে বিদ্যুৎ আবিস্কৃত হয়।

 

১৮০০ সালে আলেকজান্ডার ভোল্টা প্রথম বিদ্যুৎ কোষ তৈরি করেন। ১৮২১ সালে বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে চৌম্বকিয় শক্তির উপর কাজ করেন। মোটর আবিস্কার করেন। ১৮৩১ সালে মাইকেল ফ্যারাডে তিনিই প্রথম বলেছিলেন যে তামার তারের একটি কয়েল চুম্বকের সামনে পিছনে নড়ালে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ফ্যারাডের এই নীতিতে জেনারেটর যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ১৮৭৯ সালে আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন ইলেকট্রিক বাল্বের আবিষ্কার করেন। নিকোলা টেসলা প্রথম এসি বিদ্যুতের ধারণা দেন। ১৮৮৭ সালে নিকোলা টেসলা এসি জেনারেটর ও এসি মোটর আবিষ্কার করেন বাসা বাড়িতে এসি আজ আমরা ব্যবহার করতেছি তা নিকোলা টেসলার আবিষ্কার এসি কারেন্ট।

  

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হল প্রকৌশলের সেই শাখা যেখানে ইলেকট্রিসিটি, ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজমের প্রয়োগ শেখানো হয় বা অধ্যয়ন করানো হয়। প্রশিক্ষিত বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং সরঞ্জাম ডিজাইন করেন ও ডেভলপিং করেন। বড় বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিজাইন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাজ করেন। ডিজাইনিং, বৈদ্যুতিক মোটর, কম্পিউটার চিপস, অটোমোবাইল, বিমান, রাডার, এ্যারোস্পেস ক্রাফট এবং সব ধরণের ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেমসহ ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি তৈরির তত্ত্বাবধান করেন। ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সিস্টেমের প্লানিং-ডিজাইন, ইন্সট্রোলেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা দক্ষতা অর্জন করে। এই টেকনোলজিতে অধ্যয়ন করে ছাত্র-ছাত্রীরা যে দক্ষতা অর্জন করে তা দিয়ে খুব সহজেই ক্ষুদ্র বা বৃহঃ প্রকল্প গ্রহণ ও বিপনণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সম্ভব যা বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখছে।

 

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা এবং পদমর্যাদা:

ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় বিশ্বের সেরা বেতনের চাকুরিগুলির মধ্যে একটি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে প্রথমেই দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাকুরির সুযোগ রয়েছে। তাদের বড় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। তারা টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, মহাকাশ প্রভৃতি অনেক সেক্টরে কাজ করতে পারেন।

 

ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের জন্য চাকরির ক্ষেত্রসমূহ:

  • বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর
  • বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসমূহ
  • বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
  • পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড
  • ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড
  • আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড
  • ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ
  • নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড
  • বিআর পাওয়ারজেন কোম্পানি লিমিটেড
  • বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন
  • ডিপিডিসি
  • ডেসকো
  • ডেসা
  • নেসকো
  • আরপিসিএল
  • বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন
  • পেট্রোবাংলার অধীনে বিভিন্ন কোম্পানিসমূহ
  • বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রসমূহ
  • বাপেক্স
  • বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড
  • পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
  • বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড
  • সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ
  • বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
  • বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন
  • বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইণ্ড্রাস্টিজ কর্পোরেশন
  • মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস
  • হাইটেক পার্ক
  • বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি
  • বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ
  • বাংলাদেশ চা বোর্ড

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সমূহ:

  •  B.Sc (Eng) in  Electrical & Electronics (EEE)
  •  B.Sc (Eng) in Industrial Electronics
  •  B.Sc (Eng) in Electronics & Tele Communication
  •  B.Sc (Eng) in Instrumentation and process control
  •  B.Sc (Eng) in Mechatronics 
  •  B.Sc (Eng) in Robotics etc.